তৃণমূল নেতার মারে নাবালিকা হাসপাতালে ভর্তি, এবার আহত নাবালিকাকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক তজমুল হোসেন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিওর গ্রামে এলাকারই এক তৃণমূল নেতার বেধড়ক মারে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পরেই তড়িঘড়ি করে কলকাতা থেকে এসে রবিবার এই নাবালিকাকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের শাসক দলের বিধায়ক তজমুল হোসেন।
এদিন তিনি হাসপাতালে গিয়ে ওই আহত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।পাশাপাশি ওই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক তজমুল সাহেব। তিনি পরিবারটি পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এবং মেয়েটির চিকিৎসার ব্যাপারে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন। দুই দিন আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিওর গ্রামে জমি নিয়ে সুকুমার মন্ডল এবং সুদাম মণ্ডল নামে দুই ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। সেখানে এলাকারই এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নারায়ন মন্ডল তার দলবল নিয়ে হাজির হয়ে সুকুমার মন্ডল ও তার পরিবারকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে ওই তৃণমূল নেতার হাতে আক্রান্ত হয় সুকুমার মন্ডলের নাবালিকা মেয়ে ছটি মন্ডল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ওই তৃণমূল নেতা নারায়ণ মন্ডল তার সঙ্গে সাথীদের নিয়ে ওই নাবালিকার উপর ব্যাপক অত্যাচার চালায়। লাথি মেরে বুকের পাজরে আঘাত হানা হয় ওই নাবালিকার উপরে। তৃণমূল নেতা ও তার সঙ্গী সাথীদের মারের চটে ঘটনাস্থলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ওই নাবালিকা মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে এলাকার শাসক দলের বিধায়ক তজমুল হোসেন জানান আমার তরফ থেকে ওই মেয়েটির চিকিৎসার ব্যাপারে সব রকম সাহায্য করা হবে। এছাড়া আমরা দলগত ভাবে ওই এলাকায় গিয়ে ওই দুই পরিবারের মধ্যে সমস্ত রকম ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এই কাজের পিছনে যদি কোন তৃণমূল নেতা জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে ওই আহত নাবালিকার মা কিরণ মন্ডল জানান সেদিন আমরা নিজের জমিতেই বাড়ি তৈরির প্রস্তুতি করছিলাম। এরপরই আমার দেওর সুদাম মন্ডল এলাকার তৃণমূল নেতা নারায়ণ মন্ডল ও তার দলবল আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। আমাদেরকে মারধর করে। আমাদেরকে বাড়িতে গিয়ে আমাদের ছোট মেয়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়। এখনো ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছে না। আমরা চাই দোষীদের জন্য উপযুক্ত শাস্তি হয়। আজকে এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন এসেছিলেন আমার মেয়েকে দেখতে। উনি সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।